ঘুষ কে খায়?
উত্তরটা মনের ভেতর কসকস করছে তাই না? হুম!
আপনি কোন একটা বিপদে পড়ে দেখেন টাকা ছাড়া কেউ
কাজ করবে না, আমাদের সমাজটা ওভাবেই গঠিত হয়ে গেছে । রিক্সাওয়ালা ভাই কত ভালো মানুষ
, কত পরিশ্রম করে , মানুষের সহানুভূতির জায়গাটাতে সবার আগে স্থান পায়, কিন্তু দেখেন
কোন দুর্যোগ আসুক , ঠিক তখনই ১০ টাকার ভাড়াটা ৫০ টাকা নিতে দ্বিধা করে না, কিন্তু উল্টা
পাল্টা গাড়ি চালানোর জন্য পুলিশ ধরলে ২০-৫০টাকা দিয়ে উদ্ধার হয়।আর গালিদেয় পুলিশকেই।
সিএনজি ড্রাইভারদের কথা বলি এবার, উনারা সুযোগ পেলেই মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া
নিয়ে নেয়।তাদের আবার বৈধ কোন লাইসেন্স ও থাকে না , তাই পুলিশ ধরলে ২০০-৫০০ টাকা দিয়ে
উদ্ধার হয় । বাংলাদেশের বেশিরভাগ পেশাজীবী কোন না কোন পদ্ধতিতে অবৈধ টাকা ইনকামের জন্য
অপেক্ষায় থাকে। সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে সব সেক্টর আজ টেবিল খরচ চায়। কেন এ সমস্যা
এই দেশে? বাংলাদেশের স্বাধীনতার উদ্দেশ্য কি এটাই ছিল? কেন এই সামাজিক অবক্ষয়? কাকে
দায়ী করবে দেশ? সবকিছুতে দুর্নীতির আগ্রাসন, কেন? কে উত্তর দিবে এসবের? নারীদের চলার
পথে প্রতি পদক্ষেপে বাধা, বিচার বহির্ভুত হত্যা চলছেই। সমাজ ,রাষ্ট্র এসব দিন দিন বিষিয়ে
তুলছে আমাদের। শান্তির সুবাতাস কবে বইবে এই বাংলায় ?
শিক্ষিতের হারে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দিন দিন,
আগের মানুষ এত শিক্ষিত ছিল না,তবু এত সমস্যা ছিল না ,কারণ সামাজিক একটা বন্ধন ছিল তখন।সামাজিক
রীতিনীতি সবাই মেনে চলতো বলে মুরব্বিরা সব সময় সম্মানিত হতো , আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায়
সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে সামাজিক সমস্যা গুলো রাষ্ট্রীয় সমস্যায় রুপ নিয়েছে।
এখন মানুষ অল্পতে সন্তুষ্ট হতে রাজি না ,তাই সবার আরো চাই মনোভাবের কারণে মানুষ দিন
দিন লোভী হয়ে উঠছে। এখন এসব আমাদের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এ সংক্রমন জাতীকে ধ্বংসের দ্বার
গোড়ায় নিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
যারা জাতীয় নেতৃত্বে রয়েছেন তারাও তো এ দেশেরই
মানুষ, উনাদের তো সুযোগ আছে এর কারণ খুঁজে বের করে সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করার।
উনারা কেন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন?কিছু কিছু মানুষ নেতৃত্বে থেকে সুনাম
অর্জন করছেন,কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজনকে দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে কেমনে? সবার একইরকম মনোভাব
থাকতে হবে,দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।
পারিবারিক শিষ্টাচার শিক্ষার মাধ্যমে নারীদের
সম্মান করার মনোভাব সৃষ্টি হয়। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে পারলে নারীরা আর লাঞ্চিত
হবে না। ভুল করে শেখার চেয়ে ভুল করার আগে শিক্ষা নিতে হবে।
সুস্থ্য প্রতিযোগীতায় মনোনিবেশ করতে হবে সকলকে।
সুন্দর মনের মানুষ হতে হবে সকলকে এই হোক আমাদের পারিবারিক শিক্ষা।
কাউকে হেয় প্রতিপন্ন বা কারো ভাবমূর্তিতে আঘাত
করার জন্য আমি কোন বাক্য ব্যবহার করিনি।
তবুও যদি কোন ভুল করে থাকি তবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে
দেখবেন।
আপনার ক্ষমতার প্রকাশ করবেন আপনার ক্ষমার মধ্যদিয়ে।
তবেই পৃথিবী হবে সুন্দর, আর আপনি হবেন ফেরেশতার সমতুল্য।
সবার পথচলা শুভ হোক…………………………
0 Comments